আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন কেন?
আপনার মনে যদি প্রশ্ন জাগে মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে কেন কিভাবে সৃষ্টি করেছেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ আল্লাহ তায়ালা কেন কিভাবে মানুষকে সৃষ্টি করেছে এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এই আর্টিকেলে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে কেন সৃষ্টি করেছেন মানুষকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব কেন বলা হয় এবং পৃথিবীর প্রথম মানব-মানবীকে এ সকল তথ্য তুলে ধরেছি আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেলটি পরলে আল্লাহ কতটা মহান অব্যশই বুঝতে পারবেন এবং মানুষ সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন।
ভূমিকা
আল্লাহ মানুষকে ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন এর কারণ আল্লাহ বলেছেন হে মানব আমি তোমাদের কাছে জন দৌলত কিছুই চাই আমি চাই তোমরা আমার সকল নবীদের জীবনযাপনের দিকনির্দেশনা দেখে জীবন পরিচালনা করা তারা আমাকে কি ভাবে কতটা আনুগত্য করতো কিভাবে আমাকে সব সময় খুশি করার চেষ্টা করত।
আল্লাহ আরো উল্লেখ্য করেছি পবিত্র কোরআনের ৫০ নং সুরা কাফ এ অবিশ্বাসীদের জীবন কিভাবে শেষ করেছেন এবং আরো বলেছেন মানুষের পুনরুস্থান বলে কিছুই নেই, এই সূরায় তার প্রতিবাদ করা হয়েছে। আল্লাহ ইদ্যেশ্য করে বলেছেন কিভাবে নিথর মাটি কিভাবে আবার জীবন শুক্ততে ভরে উঠেছে। তাই আমি শুধু জিন ও মানব জাতিকে আমার ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছি।
আল্লাহ কিভাবে মানুষ সৃষ্টি করেছেন?
আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করতে বিশেষ ক্যৗশল অবলম্বন করেছেন। বিভিন্ন প্রক্রিয়া হতে পারত মানুষ সৃষ্টির তবে আল্লাহতায়ালা শুধু মাত্র বিশেষ একটি প্রক্রিয়া অবলম্বনে মানুষ সৃষ্টি করেছেন সেটি হলো পৃথিবীর সব মানুষের আগে আল্লাহ তায়ালা মহা মানব আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন ।
আদম (আঃ) সৃষ্টির পর থেকে একের পর এক মানব সৃষ্টি হতে শুরু করেছে তবে সকল মানব জাতিকে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ করে দিয়েছে।
পৃথিবীর প্রথম মানব ও মানবী কে?
আল্লাহ তায়ালা এই সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। এই পৃথিবী সৃষ্টির পর পর সৃষ্টি করছে সূর্য চাদ, আকাশ,বাতাস,ভূমি,সাগর,মহাসাগর,পাহাড়-পর্বত,গাছ-পালা,পশুপাখি ইত্যাদি সৃষ্টি করেছে এর পরই মহান আল্লাহ তায়ালা চিন্তা প্রথিবীতে সব কিছুই আছে কিন্তু এতো সুন্দর পৃথিবীটা উপভোগ করার জন্য মানুষ দরকার ।
আল্লাহ তায়ালা প্রথম মানব হিসেবে আদম (আঃ) কে সৃষ্টির করেছেন কিন্তু আদম (আঃ) একাই তো আর পৃথিবীতে মানুষের সমৃদ্ধি করতে পারবে না এটা ভেবে আল্লাহ তায়ালা তারপরে হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করেন এবং এই দুজনের জন্য পৃথিবীতে মানব জাতির বিস্তার ঘটে চলেছে এখন পর্যন্ত।
(সূরা সাজদাহ) এর ৭ নং আয়াত আল্লাহ তায়ালা বর্ণনা করেছেন আমি আদম ও হাওয়াকে কাদা মাটি দ্বারা তৈরি করেছে এবং তাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে মানুয়ের বিস্তার ঘটিয়েছি।
আল্লাহ মানুষকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন?
মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন (সূরা তীন-৪) এই সূরায় আল্লা তায়ালা আরো উল্লেখ্য করেছেন যে তোমরা তোমাদের চেহারা-আকৃতি ও ধন সম্পদ দেখো মানুষকে বিবেচনা করো না বরং তোমরা তোমাদের অন্তরের অন্তর স্থল থেকে যে সব কাজ-কর্ম করবে সেগুলো দেখো।
উপরে বর্ণিত আয়াত ও হাদিস অনুযায়ী আপনি কিভাবে মানুষকে তার বাহ্যক্য রুপ বা সৌন্দর্য নিয়ে খাট করে দেখে নিতে পারেন। মহান আল্লাহ তায়ালা কাউকে অসুন্দর করে পৃথিবীতে পাঠাইনি যে যার স্থান থেকে সুন্দর। আপনি যাকে পছন্দ করেন না বা কালো বলে ইৎসা করেন তাহলে আপনার মন মানসিকতা কুচক্রে ভরা যা আপনি বুঝতে পারছেন না।
আপনি মানুষোর গায়ের রঙ বা মানুষের আকার আকৃতি নিয়ে বিবেচনা করেন তাহলে আপনি অহংকারী আল্লাহ তায়ালা অহংকারীদের পছন্দ করেন না আল্লাহ তায়ালা বলেছেন সে যে রকম হোক না কেন সে মানুষ আর মানুষ হলো পৃথিবীর সৃষ্ট জীব মানুষকে ভালোবসাতে শেখে মানুষকে মূল্য দিতে শিখো ।
মানব সৃষ্টির স্তর কয়টি?
আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে ৭টি স্তরে সুষ্টি করেছেন
আর সে ৭টি স্তর গুলেঅ কুরআনে এরশাদ হয়েছে সে ৭ টি স্তর সমন্ধে নিচে আলোচনা করা হলো।
২. নফস:- ইয়া আইয়ুহান্নাফছুল মুত্বমা ইন্নাতুরযিয়ি ইলা। অর্থ: হে শান্ত নফস ফিরে এসো তোমার রবের দিকে । (সুরা ফাজর -২৮)। এ আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা নফস কে সৃষ্টি করে তার দিকে মনোনিবেশ করার আদেশ দিয়েছন।
৩. ক্বলব:- কাতাবা ফী কুলুবিহিমুল আইমান। অর্থ: কলব সমূহে ঈমান কে নির্ধারিত করে দিয়েছেন। (সুরা মুজাদালাহ-২২)
৪. সের:- এটা একটি রূহানী নূর নফসের আশা বাস্তবায়নের মাধ্যম এই সের ব্যাতিত নফস বেকার।
৫. রূহ:- রূহ এটি একটি রূহানী নূর। যা নফসকে বাঁচিয়ে রাখে। আল্লাহ বলেন: কুলিররুহু মিন আমরি রাব্বিহ। অর্থ: হে নবী আপনি বলুন । রূহ আমার রবের আদেশ। (সুরা বণী ইসরাঈল-৮৫)
৬. খফী:- এটাকে অনেকে আখফা ও বলে থাকেন। এটি গোপনীয় একটি নূর । আল্লাহ বলেন: ইয়ালামুছ ছিররা ওয়া আখফা। অর্থ: তিনি সির ও আখফাকে জানেন অর্থাৎ গোপন ও অতি গোপন বিষযয়ে জানেন (সুরা ত্বোহা-৭)
৭. আকল:- অর্থাৎ জ্ঞান
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব কেন?
মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বর্ণনা করেছেন মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ট জীব এটা উল্লেখ করার কারণ মানুষের মনে কৌতুহল জাগে মানুষ কিভাবে এবং কেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হলো মানুষের চাইতে অনেক বৃদ্ধিমান জীব আছে তাহলে মানুষই কেন শ্রেষ্ঠ হলো
যুক্তির দাবি অনুসারে মানব আকৃতির এই জীবকে অন্য সব সৃষ্টির তুলনায় তখনই শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া যাবে, যখন অন্যদের তুলনায় তারা বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবে।
এ কারণে মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এক শ্রেণির লোকের আলোচনায় বলেন, ‘তারা (মানুষ হয়েও) পশুর মতো, বরং পশুর চেয়েও বেশি নিকৃষ্ট।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৭৯)
উল্লিখিত আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয়, ব্যাপকভাবে মানুষ বলতেই সৃষ্টির সেরা নয়। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষ পশু থেকেও নিকৃষ্ট হয়ে থাকে। তাই প্রথমেই খুঁজতে হবে মানুষ আর পশুর মধ্যে মৌলিক কী পার্থক্য রয়েছে। আর এর মাধ্যমে সহজেই নির্বাচন করা সম্ভব হবে, কারা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ আর কারা মানুষরূপী পশু কিংবা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। কোরআন সুন্নাহর আলোকে মানুষ ও পশুর মধ্যে মৌলিক পাঁচটি পার্থক্য রয়েছে। নিম্নে ধারাবাহিকভাবে এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো।
এক. আল্লাহর কুদরতি হাতে মানুষের সৃষ্টি : যখন ইবলিস শয়তান হজরত আদম (আ.)-কে সিজদা করতে অস্বীকার করল তখন মহান আল্লাহ বললেন, ‘হে ইবলিস! যাকে আমার নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি তাকে সিজদা করতে তোকে কিসে বাধা দিল?’ (সুরা : সদ, আয়াত : ৭৫)
উক্ত আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়, মানুষের সৃষ্টি মহান আল্লাহর স্বহস্তে সম্পাদিত হয়েছে। নতুবা আল্লাহ তাআলার সাধারণ সৃষ্টির প্রক্রিয়া হলো, যখন তিনি কোনো কিছু সৃষ্টির ইচ্ছা করেন তখন আদেশ করেন হও।
মানুষ ও জিন জাতি সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য কি?
মহান আল্লাহ তায়ালা মাসুষ ও জিনকে সৃষ্টি করেছেন তার এবাদত করার জন্য সুরা যারিয়াতে আল্লাহ তায়ালা উল্লেখ করে বলেছেন । মানুষ ও জিন প্রতিটি কাজই মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য করে থাকে। আল্লাহ তায়ালা মানুষ ও জিন খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন।
তাদের মধ্যে কোন রকম হিংসা বিদ্বেষ রাখেন নি তারা সব সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে সে কথা বলেছেন কিন্তু কিছু কিছু মানুষ জাতি যারা পশুর চাইতেই খারাপ মানুষ কে তার এবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন তার পালনের জন্য সৃষ্টি করেছেন ।
লেখকের মতামত বা শেষ কথা
এই আর্টিকেল লেখক ইসলামের দৃষ্টি কোণ থেকে আল্লাহ মানুষকে কেন সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব বলেছেন এবং মানুষের সুষ্টির মূল উদ্দেশ্য কি এসকল বিষয়ে ভাবেভালে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনি জদি এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আল্লাহ মানুষকে কেন আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তা বুঝতে পারবেন। এবং আপনার যে কোন মতামত অব্যশই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন এবং আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url